মান's image
Share0 Bookmarks 30 Reads0 Likes

শোলা কচু ছিল প্রচুর, দিম্মার ঐ পগার পারে,

সদাই ছড়াতো ওরা সবুজ আলো কুয়োর ধারে।

ছিল গোবোরের টাল আর হলুদ খেতের ধারে____

কিছু দশাশই মানকচু, সম্মান ওরা পেতেই পারে।


তাই কচুর ভালনা, কচুশাক হতো মাঝে মাঝেই,

আর মানকচুর বড়া, কিংবা বাটার তো তুলনা নেই !

অমৃত যেন, সর্ষের তেল, নুন, কাঁচা লঙ্কা, আর___

সর্ষের সাথে একটুখানি নারকোল বেটে নিলেই ।


কচু থেতো করা ! জানা কথা, আছে মালতী দিদি,

হাসিমুখে কাজ করে যায়, হয়না কখনও জ্বর-সর্দি।

আর মায়ের সংসারে এসব কাজে মা একাই একশো,

আমি খাই-দাই,করি টুকটাক কাজ, একদম ফর শো।


বিয়ের পরে শিখে নিয়েছি কাজ মোটামুটি চলনসই,

এক বৌ এনে দিত মোচা, থোর, আর যা খুঁজে পায়।

একবার বেশ মোটাসোটা, এক টুকরো মানকচু দেয়,

স্বাভাবিক ভাবে বহুদিন পরে মানকচু দেখে খুশি হই।


পিস পিস করে কাটা মান,ভাপ দিয়ে জল ফেলে নিই,

পিঠালি‌ মাখিয়ে ছাঁকা তেলে বড়া ভেজে খেতে দিই।

আমিও খাই, জ্বর আসে তারপরের কাণ্ড ভাবলেই !

যত ভাল চেহারার হোক মান,আড়ি তারপর থেকেই ।


একটুও গলায় ধরবেনা, গ্যারান্টি দিয়েছে মা এবারে,

টুকরো মানকচু এসেছে ও বাড়ি থেকে আমার ঘরে।

ভালনা রেঁধে, খেয়ে আমিও হয়েছি সত্যিই অবাক,

মান কচু এতো ভালো হয় ! ঠিক কথাই বলে লোক।


যেটুকু আছে বাকি, কাল মানকচু বাটা করতেই হবে,

নারকোলগুঁড়ো আছে কিছুটা, দিম্মার মতো কি হবে !

বেড়েছে মান, গ্ৰামের পগার, গোবর টাল, কুয়ো বিনা,

শহরের তিনতলা বাড়িটাই যে এখন দিম্মার আস্তানা।

No posts

Comments

No posts

No posts

No posts

No posts