
Share0 Bookmarks 28 Reads0 Likes
লাচুং থেকে ইয়ামথামের রাস্তা তেইশ কিলোমিটার,
রাস্তার একপাশের দৃশ্যের কথা মনে আছে আমার।
চোখের পাতা ফেলার উপায় নেই কোনোমতেই,
অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যেতো চোখ বুঝলেই !
সে সব দৃশ্যের বর্ণনা কি আর লিখে করা যায় !
ছবি তুলে নষ্ট করার মতো ছিলো না এতটুকুও সময়।
মন ক্যামেরার লেন্সে শুধু তা অনুভব করতে হয়।
সাদা ঝোলা দাড়ির কিছু বুড়ো গাছ গল্প বলতে চায়,
কিন্তু ড্রাইভার দাদার থামার মতো সময় কোথায় !
ইয়ামথামে পৌঁছে যাবার পর ব্যাপারটা গেলো বোঝা,
রাস্তায় থামতে চাইলেও থামাটা নয় এতো সোজা !
শুধু আমরাই তো নই, এসেছে যে টুরিস্ট সারি সারি,
একের পেছনে আরেক, লাইন ধরে শুধুই গাড়ি।
সরু সেই রাস্তায় ওদের কারোই থামা চলবেনা,
একের কারণে ঘটতেই পারে অপরের বিরম্বনা !
তাই সকলেরই এ যেন এক অলিখিত সমঝোতা,
পৌঁছে গেছে এভাবেই সকলের কাছে জরুরী বার্তা!
কাউকে খুশি করতে, চলবেনা বিপদ ডেকে আনা,
আর কিছু না, এটা আসলে পাহাড়ি রাস্তার সতর্কতা।
যেখানে সেখানে আনমনে ফুটে থাকা ফুলেদের দল,
হালকা ফেনা সম তুষার, তার মাঝে করছে ঝলমল ।
খাওয়া ভুলে জিরোতে চায় ওরাও, ঐ ইয়াকের দল।
ইয়ামথামের পর জিরো পয়েন্টে যাওয়ার পথ ঊষর,
গাছপালা কম, চারদিকে ন্যাড়া পাহাড়ের সারি,
আপন নয়, লাগছিলো কেমন যেন একটু পর পর ।
কাঞ্চনজঙ্ঘা কেমন করে সোনালী দেখায় বুঝে যাই,
গলানো সোনার মতো সেই রঙ, যা দেখে মোহিত হই,
সব রহস্য জেনে গেলে আর বাকি টা থাকে কি!
জেমু হিমবাহকে তিস্তা যেন ভালো বাসে দূর থেকেই।
No posts
No posts
No posts
No posts
Comments