
Share0 Bookmarks 10 Reads0 Likes
কাল রাতে জাগতে হয়েছে, একটুও ঘুমোতে পারিনি।
সারাটা রাত ব্যাঙের ডাক শুনেই কেটে গেছে।
এখন বিকেল প্রায় ছটা,আরও ঘুমোতে ইচ্ছে করছে।
কিন্তু সব কিছুরই তো একটা মাপ আছে।
রাত দুটো নাগাদ গন্ডগোলের শুরু হয়েছে,
তবু সকালেই ইলেক্ট্রিক সাপ্লাইয়ের লোকেরা এসেছে।
রাস্তার পোলের বক্স থেকে হলুদ ঠোঁটের গাঙশালিক,
আর কাঠবেড়ালির বাসার কাঠি, পাতা সাফ করেছে, আর কারেন্ট আসার লাইনটা ঠিক করেছে।
কিন্তু দুপুরে হিটারে, প্রেশারকুকারে ভাত বসাতে গিয়ে সুইচ অফ অবস্থায় দুবার হাতে শক লেগেছে।
টেস্টারে পরীক্ষা করার পর দেখা গেল,
বাড়ির সব পয়েন্টেই টেস্টার আলো দেখাচ্ছে!
প্রেশার কুকারের হ্যান্ডেলেও কারেন্ট এসে গেছে।
আগেও প্রথমে একবার এমন হয়েছিলো,
অফ অবস্থায় প্রতি প্লাগ পয়েন্টে কারেন্ট ছিলো,
কথাটা এবার হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেল।
ইলেকট্রিশিয়ান সুনীল বাবু বুদ্ধি করে,
দুটো তার উল্টে দিয়ে সামলে নিয়ে ঠিক করেছিলো।
তাই ওকেই ফোন করেছি। কাল আসবে বলেছে।
হয়তো এবার উল্টো তারকে সোজা করতে হবে।
কিসের থেকে যে কি করে কি হয়, কে জানে !
কাঠবেড়ালি, গাঙশালিক কি আমার কথা শোনে ?
নাকি আমার পরামর্শ নিয়ে, ওরা ওদের বাসা বোনে !
রাস্তার পোলের মাথার চারকোনা লোহার বাক্সগুলো,
বাড়ি হিসেবে জায়গাটা ওদের দারুণ পছন্দ !
দেখেনা? রাতের বেলায় ল্যাম্পপোষ্টে জ্বলে আলো!
আকাশের আধখানা চাঁদের চেয়েও বেশি জোড়ালো,
বুদ্ধিটা ওদের অবশ্য মনেহয় একটু এলোমেলো ।
যখন তখন নিচের দুটো গোল ফুঁটো দিয়ে,
কখনও ঢোকে, আবার সুরুৎ করে যায় বেরিয়ে।
একটুও ভয় নেই দেখি ওদের মনে, প্রাণে,
ওদের যেন কোনোমতেই কারেন্ট লাগবেনা____
বুঝিনা কিছুতেই,কি করে যে ওরা এতো কিছু জানে !
No posts
No posts
No posts
No posts
Comments