প্রজাপতির চিত্রল ডানা দেখে বিরহ থেকে বিবাহের দিকে
চলে যায় মানবসম্প্রদায় — আমি এক সৌন্দর্যরাক্ষস
ভেঙে দিয়েছি প্রজাপতির গন্ধসন্ধানী শুঁড়
আমার নিজের কোনো বিশ্বাস নেই কাউর ওপর
অলস বদ্মাস আমি মাঝে মাঝে বেশ্যার নাঙ হয়ে
জীবনযাপনের কথা ভাবি যখন মদের নেশা কেটে আসে
আর বন্ধুদের উল্লাস ইআর্কির ভেতর বসে টের পাই ব্যর্থ প্রেম
চেয়ে দেখি পূর্ণিমা-চাঁদের ভেতর জ্বলন্ত চিতা
এখন আমি মর্গের ড্রয়ারে শুয়ে আছি এক মৃতদেহ
আমার জ্যান্ত শরীর নিয়ে চলে গেছে তার
শাঁখাভাঙা বিধবার ঋতুরক্ত ন্যাকড়ার কাছে
মর্গের ড্রয়ারে শুয়ে আছি — চিতাকাঠ শুয়ে আছে বৃক্ষের ভেতর
প্রেম নেই প্রসূতিসদনে নেই আসন্নপ্রসবা স্ত্রী
মর্গের ড্রয়ারে শুয়ে আছি
এভাবেই রয়ে গেছি কেটে যায় দিন রাত বজ্রপাত অনাবৃষ্টি
কত বালিকার মসৃণ বুকে গজিয়ে ওঠল মাংসঢিবি
কত কুমারীর গর্ভসঞ্চার গর্ভপাত — সত্যজিতের দেশ থেকে
লাভ ইন টোকিও চলে গ্যাল পূর্ব আফরিকায় — মার্কাস স্কোয়ারে
বঙ্গসংস্কৃতি ভারতসার্কাস রবীন্দ্রসদনে কবিসন্মিলন আর
বৈজয়ন্তীমালার নাচ হল — আমার ত হল না কিছু
কোনো উত্তরণ অবনতি কোনো
গণিকার বাথরুম থেকে প্রেমিকার বিছানার দিকে
আমার অনায়াস গতায়াত শেষ হয় নাই — আকাশগর্ভ
থেকে তাই আজো ঝরে পড়ে নক্ষত্রের ছাই পৃথিবীর বুকের ওপর
তবু মর্গের ড্রয়ারে শুয়ে আছি এবং মৃতদেহ আমার জ্যান্ত শরীর নিয়ে
চলে গ্যাছে তার শাঁখাভাঙা বিরহ থেকে বিবাহের দিকে চলে যায় মানুষেরা
আমি এক সৌন্দর্য রাক্ষস ভেঙে দিয়েছি প্রজাপতির গন্ধসন্ধানী শুঁড়
No posts
No posts
No posts
No posts
Comments