
সাহিত্য চিরদিনই দুঃসাহসিক পথের যাত্রী।
তার প্রতিপদক্ষেপেই নতুন পরীক্ষায় চঞ্চল।
দুর্গমকে অতিক্রম করাতেই তার উল্লাস।
দুরূহকে নিয়ে খেলা করাতেই তার আনন্দ।
অফুরন্ত রহস্যময় মানব চিত্তের জটিল ধাঁধার
উপর আলো ফেলে ফেলে তার যাত্রা।
তাই প্রতি নিয়তই সে অস্থির।
এই অস্থিরতাই সাহিত্যের ধর্ম,
এই অস্থিরতার মধ্যেই সাহিত্যের অস্তিত্ব।
বিশেষ কোনো একটি মহৎ লক্ষ্যে পৌঁছে,
বিশেষ কোনো একটি সত্য’কে আঁকড়ে ধরে
বসে বাকি কালটা গুছিয়ে বসে থাকবে,
এমন পাত্র সাহিত্য নয়।
সে নদীর মতো অহরহই ভাঙ্গন ধরাবে, পলি পড়াবে।
সাহিত্য তো জীবনেরই রূপায়ণ।
যে জীবন মুহূর্তে মুহূর্তে নতুন
চেতনায় দুর্বার, নতুন উপলব্ধিতে উদ্ভাসিত,
নতুন মূল্যবোধে উচ্চকিত, সাহিত্য কি সেই
যুগজীবনকে অস্বীকার করবে?
যে যুগ অফুরন্ত সমস্যায় কণ্টকিত,
অফুরন্ত যন্ত্রণায় দিশেহারা,
দমবন্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারছে না,
সেই যুগের সাহিত্যে স্নিগ্ধ প্রশান্তির আশা করা যায় না।”
No posts
No posts
No posts
No posts
Comments