
Share0 Bookmarks 19 Reads0 Likes
মুর্শিদাবাদের নিমতিতা আর নশিপুরের রাজবাড়ী,
দুটোরই অবস্থা সঙ্গীন, বলে, এখনই ঝরে পড়ি।
নিষ্ঠুর দেবী সিংহের নশিপুরের বাড়িটার ভেতরে
ঢুকলেই গা ছমছম, জাগে অতীত স্মৃতি ভুরি ভুরি,
আসে ভিড় করে, প্রজাদের নির্যাতনের নানা কাহিনী !
শপাং করে গায়ে লাগে দেখি বেলের ডালের বাড়ি।
আছে, মানুষ আটকে রাখার ছোটো ছোটো কুঠুরি,
ফাঁসিতে ঝোলানো হতো যেসব নিরূপায় প্রজাদের,
মৃত্যুর পর কুঁয়োতে ফেলা হতো মৃতদেহ তাদের ।
কুঁয়োর যোগ ছিলো নালা দিয়ে একেবারে গঙ্গায়,
প্রমাণ লোপাট, মৃতদেহ ডুবে গিয়ে বয়ে যেতো হায় !
পরিবার পরিজন আর কি করে তাকে পায়!
অন্তিম সৎকারের কথা ভাবার সুযোগ কোথায় ?
তা ভোলার তরেই হয়তো মন্দির দাঁড়িয়ে সারি সারি।
অবাক হই দেখে, বারান্দায় শ্বেত পাথরের জাফরি,
এতো সুন্দর মিহি হাতের কাজ, নিশ্চয়ই পাকা মিস্ত্রী!
পা যেন আটকে রয়,টেনে হিঁচড়ে নিজেকে বের করি।
নিমতিতা'র বাড়িতে সাহিত্যিক ও কুশলীদের ভিড়,
হরদম কেউ কথা বলে, ফেলে শ্বাস অনেকটা গম্ভীর।
বাড়ি তৈরি করেন গৌড়সুন্দর ও দ্বারকানাথ চৌধুরী,
আনাচে কানাচে বৈভব তখনো রয়েছে কিছু ছড়িয়ে,
ইঁটের দাঁত বের করা দেয়াল দেখেই মনে হয় পছন্দ!
"জলসাঘর" এর শুটিং করেছিলেন সত্যজিৎ রায়।
এই বাড়িটিকে বাংলা নাটকের আঁতুরঘর বলা হয়,
১৮৯৭ সালে "নিমতিতা হিন্দু থিয়েটার" নামে সংস্থা,
প্রতিষ্ঠা করেন এই বাড়িতেই মহেন্দ্র নারায়ন চৌধুরী।
কলকাতা থেকে অভিনয় করতে এসেছিলেন, তখনকার নামজাদা অভিনেতা শিশিরকুমার ভাদুড়ি।
নাট্যকার ক্ষীরোদ প্রসাদ বিদ্যাবিনোদের উর্বর মাথা,
এই রাজবাড়িতে বসেই লিখতো পাতার পর পাতা।
দুটোরই অবস্থা সঙ্গীন, বলে, এখনই ঝরে পড়ি।
নিষ্ঠুর দেবী সিংহের নশিপুরের বাড়িটার ভেতরে
ঢুকলেই গা ছমছম, জাগে অতীত স্মৃতি ভুরি ভুরি,
আসে ভিড় করে, প্রজাদের নির্যাতনের নানা কাহিনী !
শপাং করে গায়ে লাগে দেখি বেলের ডালের বাড়ি।
আছে, মানুষ আটকে রাখার ছোটো ছোটো কুঠুরি,
ফাঁসিতে ঝোলানো হতো যেসব নিরূপায় প্রজাদের,
মৃত্যুর পর কুঁয়োতে ফেলা হতো মৃতদেহ তাদের ।
কুঁয়োর যোগ ছিলো নালা দিয়ে একেবারে গঙ্গায়,
প্রমাণ লোপাট, মৃতদেহ ডুবে গিয়ে বয়ে যেতো হায় !
পরিবার পরিজন আর কি করে তাকে পায়!
অন্তিম সৎকারের কথা ভাবার সুযোগ কোথায় ?
তা ভোলার তরেই হয়তো মন্দির দাঁড়িয়ে সারি সারি।
অবাক হই দেখে, বারান্দায় শ্বেত পাথরের জাফরি,
এতো সুন্দর মিহি হাতের কাজ, নিশ্চয়ই পাকা মিস্ত্রী!
পা যেন আটকে রয়,টেনে হিঁচড়ে নিজেকে বের করি।
নিমতিতা'র বাড়িতে সাহিত্যিক ও কুশলীদের ভিড়,
হরদম কেউ কথা বলে, ফেলে শ্বাস অনেকটা গম্ভীর।
বাড়ি তৈরি করেন গৌড়সুন্দর ও দ্বারকানাথ চৌধুরী,
আনাচে কানাচে বৈভব তখনো রয়েছে কিছু ছড়িয়ে,
ইঁটের দাঁত বের করা দেয়াল দেখেই মনে হয় পছন্দ!
"জলসাঘর" এর শুটিং করেছিলেন সত্যজিৎ রায়।
এই বাড়িটিকে বাংলা নাটকের আঁতুরঘর বলা হয়,
১৮৯৭ সালে "নিমতিতা হিন্দু থিয়েটার" নামে সংস্থা,
প্রতিষ্ঠা করেন এই বাড়িতেই মহেন্দ্র নারায়ন চৌধুরী।
কলকাতা থেকে অভিনয় করতে এসেছিলেন, তখনকার নামজাদা অভিনেতা শিশিরকুমার ভাদুড়ি।
নাট্যকার ক্ষীরোদ প্রসাদ বিদ্যাবিনোদের উর্বর মাথা,
এই রাজবাড়িতে বসেই লিখতো পাতার পর পাতা।
No posts
No posts
No posts
No posts
Comments