
Share0 Bookmarks 41 Reads0 Likes
মনে পড়ে ছোটোবেলায় গ্রামের জলখাবার,
দই-চিঁড়ে, ছোলা সেদ্ধ, তেল মুড়ি, কলা আর গুড়।
মাঝে মাঝে চিঁঁড়ে ভাজা ও সুজির হালুয়া,
কখনও পিঠে, পায়েস, তালের বড়া বা মালপোয়া।
বানাতে যে কষ্ট হয় একথা তো শুনিনি কখনও,
ছিল এতে আনন্দ, হাসিমুখ গুলো মনে পড়ে এখনও।
প্রথম যখন শহরের বাজার থেকে ম্যাগি বাড়ি এলো,
খাবারের চেহারা ও ডিজাইন দেখে চোখ জুড়ালো।
সেদ্ধ হবার পরে এমন ক্যাতকেতে কেঁচোর চেহারা,
দেখে সত্যিই ঘেন্নায় আমাদের চক্ষু হলো ছানাবড়া !
মুখে দিয়ে বুঝি যে, স্বাদ নয় একেবারে ততটা মন্দ !
কিন্তু এ খাবারটায় আছে কেমন যেন বিজাতীয় গন্ধ।
নতুন যে কোনো কিছুতেই বোধহয় থাকে বেশ আগ্ৰহ,
তাই হয়তো মেনে নিয়ে খেয়ে নিতাম, না করে কলহ। কিন্তু যত বেশী দিন যায়, বছর বছর ধরে ।
খাওয়াই সবাইকে এসব এখন ভালোবেসে, এ শহরে।
আসল কথাটা আমিই জানি, আর জানেন অন্তর্যামী,
বানানোর পরিশ্রম ও সময় এভাবে বাঁচাই আমি ।
কিন্তু কখনও যদি সবার সাথে আমাকেও খেতে হয়,
তাহলেই আমি তখন, একদম বেকুব বনে যাই ।
কারোর বাড়ি বেড়াতে গেলে আর বাঁচার উপায় নেই,
শহরে তো হট ডগ, পিৎজা, ইডলি, ধোকলা, ধোসা,
দোকানে অর্ডার দিলেই, দেখানো হয় ভালোবাসা!
লুচি, পুরি, ঢাকাই-পরোটা, অথবা মটরশুঁটির কচুরি,
কে আর বানায় ম্যাড়মেড়ে সাদা আলুর চচ্চড়ি !
মনে হয় বরাবরের মতো শহর ছেড়ে দৌড়ে পালাই।
আবার গ্ৰামে গিয়ে আগের মতো ছাতু মেখে খাই,
একটু গুড় ও গাছপাকা সুগন্ধি মর্তমান কলা চাই।ছোটোবেলার আঙুলের মতো বানান বা সবরি পাই?
তাই মায়ানমারের মার্তাবানকেই আপন করে নিই।
তবে ভাগ্য ভালো যে, শহরেও কলা পাওয়া যায়,
বানর না হয়েও আমি এই ফল তৃপ্তি করেই খাই।
No posts
No posts
No posts
No posts
Comments