Share0 Bookmarks 45674 Reads0 Likes
সত্যেন লাইনে দাঁড়িয়েছে টিকিট কাটতে। লোহার বেঞ্চে বসে স্টেশন চত্ত্বরটা খুঁটিয়ে দেখছে জগন্নাথ।
কিছু কাক, শালিক আর পায়রার খাবার খুঁটে খাওয়ার ধরণ দেখে মনে হলো এখানেই ওদের আশ্রয় জুটে গেছে কোথাও।
কয়েকটি গৃহহীন মানুষেরও দেখা পাওয়া গেল স্টেশনে। তার মধ্যে সকলেই যে স্বাভাবিক তা জোর দিয়ে বলা যায় না। এদের প্রত্যেকেরই হয়তো একদিন নিজেদের সংসার ছিলো। আজ কোনো ভাবে কেউ সম্পত্তি, কেউ আপনজন আর কেউ হয়তো বা নিজের স্মৃতি হারিয়ে এই স্টেশনে এসে জুটেছে। ভিক্ষা স্বরূপ কেউ কিছু খেতে দিলে তাই খেয়ে করছে জীবন ধারণ।
খুব কম ট্রেন চলে এই লাইন দিয়ে। বারসই জংশন থেকে এটি একটি কর্ড লাইন যা রাধিকাপুর নামে এক জায়গা পর্যন্ত যায়। আগে পার্বতীপুর জংশন পর্যন্ত চলাচল করতো ট্রেন। কিন্তু স্বাধীনতার সময় দেশভাগের ফলে ঐ রাধিকাপুর এখন এক প্রান্তিক স্টেশনে পরিণত হয়েছে। একটা সময় এই পথে বহু মানুষ নিজেদের সম্ভ্রম বাঁচাতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে এই ভারতে এসেছে। হয়তো কিছু বছর এই যাতায়াত বজায় ছিল। তারপর কোনো এক সময়ে বর্ডারটি সিল করে দেওয়া হয়।
সত্যেন টিকিট কেটে পাশে এসে বসেছে। হঠাৎ বলে ওঠে,
________শিগ্গির নাক বন্ধ কর । ঐ যে এসে গেছে !
জ
No posts
No posts
No posts
No posts
Comments